fbpx

বিজনেসের নাম নির্ধারন করার আগে যে পাঁচটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে

এপল শুনলেই বেশিরভাগ সময় ফল আপেলের চাইতে মোবাইল এপল এর ছবি চোখের সামনে বেশি ভেসে উঠে। আমি আমার ব্যবসার নাম নির্ধারন করার সময় তাই, ম্যাঙ্গো, পাপায়া, ইত্যাদি রাখা যায় কিনা তা ভেবেছিলাম। তখন তো নতুন ছিলাম তাই আসলে অনেক কিছুই বুঝতাম না, আর সবচাইতে মজার বিষয় হচ্ছে এখনো যারা নতুন তারাও আমি তখন যেভাবে ভাবতাম সেভাবেই ভাবে।

তবে এই পোষ্ট পড়ার পর অনেকেরই ভাবনার পরিবর্তন ঘটবে।

নিজেদের বিজনেস নাম খুঁজতে গিয়ে এরকম বড় বড় ব্র্যান্ড দের দেখানো পথে এগোতে চাওয়া যাবে না, এবং এরকম ইরিলেভেন্ট নাম খোজা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করা যেতে পারে। যদি ইরিলিভেন্ট নামে খুঁজাটাও থিওরিটিকাল কোন ভুল নয়, কিন্তু বিজনেস শুরু করার পর বেশ কিছু সমস্যায় পড়তে হয়।

আমাদের মনে রাখতে হবে বড় ব্রান্ড গুলার অনেক ইনভেস্টমেন্ট থাকে। যার ফলে তারা প্রচুর মার্কেটিং ম্যাটেরিয়াল এর সাহায্যে অপিরিচিত, ইরিলেভেন্ট নামকেও মানুষের মস্তিষ্কে ঢুকিয়ে দিতে পারে। কিন্তু ছোট বিজনেসের ক্ষেত্রে কিন্তু এরকম বাজেট থাকবে না। যার ফলে তাদের জন্য বেপারটা অনেক কঠিন। অনেক সময় অনেকেই এটা টের পায় না কার্বন ছোট বিজনেস ডাটা এনালাইসিস কম করে অথবা করে না।

নিচে আমি আপনাদের সাথে কিছু গুরুত্বপুর্ন গাইডলাইন শেয়ার করছি যা আপনাকে আপনার ব্র্যান্ড নেম সিলেক্ট করতে সহায়তা করবে।

১) সহজে উচ্চারণ করা যায় এমন নাম খুজে বের করুন

ব্র্যান্ড নেম খুঁজে বের করার সময় অনেক ধরনের নাম মাথায় আসে। আবার অনেক সময় আমরা দুই তিনটা শব্দ এক করে একটি নাম বানানোর চেষ্টা করি। অথবা দুই তিন টা শব্দের খন্ড খন্ড অংশ নিয়ে একটি নাম বানানো। যা খুবী কার্যকরি। কিন্তু মনে রাখতে হবে আমরা যে শব্দটি সিলেক্ট করছি তা যাতে সহজে উচ্চারণ করা যায়। পরবর্তিতে ব্র্যান্ড পরিচিতি বাড়াতে ওয়ার্ড অফ মাউথ অনেক বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু ব্র্যান্ড এর নাম উচ্চারণ করতে যদি কষ্ট হয় সে ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে।

২) ব্র্যান্ড এর নাম এক/দুই ওয়ার্ডের মধ্যে রাখার চেষ্টা করা

ব্র্যান্ড নাম যত ছোট হবে তত মানুষের মনে থাকবে। আবার ভবিষ্যতে মার্কেটিং ম্যাটেরিয়াল তৈরি করার ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা রাখে। তাই চেষ্টা করা উচিত যাতে ব্রান্ড এর নাম ছোট হয়। দুই শব্দ এর মধ্যে রাখতে পারলে ভাল। আর যদি ক্ষেত্র বিশেষে তা তিন শব্দ হয়ও খেয়াল রাখা উচিত যাতে তার মধ্যে একটি রিদম থাকে। তাহলে বড় হবার পরেও সহজে মনে রাখা যাবে।

৩) নাম শুনলে যাতে বোঝা যায় যে এটি কী ধরনের বিজনেস

এটি অনেক গুরুত্বপুর্ন একটি বেপার। আর্টিকেলের শুরুতেই আমি এই বেপারটি নিয়ে লিখেছিলাম। একজন স্মল বিজনেসের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপুর্ন। আমাদের বিজনেসের নাম শুনলেই যদি বুঝা যায় অথবা ধারনা করা যায় এটি কী ধরনের বিজনেস তাহলে কনভার্শন রেট বেড়ে যায়। আবারো মনে করিয়ে দিচ্ছি ছোট প্রতিষ্ঠান গুলার কিন্তু অনেক বাজেট থাকে না। তাই একটি অপিরিচত নাম, যেটা শুনলে বুঝা যায়না যে এটা কী ধরনের বিজনেস তাহলে অনেকেই আগ্রহ দেখাবে না এবং কাস্টমার হারানোর সম্ভাবনা থাকবে।

উদাহরণ,

কড়াই গোস্ত – এর নাম শুনলেই বুঝা যায় যে এটি খাবার রিলেটেড কিছু।

বেঙ্গল মিটস – মাংস রিলেটেড কিছু

কেক টাউন – কেক রিলেটেড কিছু

ডাটা সফট – নাম শুনলেই মনে হয় সফটওয়ার অথবা টেকনোলজি রিলেটেড কিছু।

এরকম আরো প্রচুর উদাহরণ আছে।

৪) ডট কম ডোমেইন এভেইলেবল আছে কিনা তা দেখে নেয়া

ডট কম ডোমেইন এভেইলেবল কিনা তা দেখে নেয়া উচিত। যদিও টেকনিক্যালি অন্য যে কোন এক্সেটেনশন কিনতে বাধা নেই, কিন্তু রিয়েলিটি হচ্ছে মানুষ যখন কোন ব্র্যান্ড এর নাম কারো কাছ থেকে শুনে, অথবা প্রিন্ট মিডিয়াতে দেখে, তখন মানুষের অবচেতন মনেই মানুষ মনে করে যে এই ব্র্যান্ড এর ওয়েবসাইট হবে ব্র্যান্ড নেম ডট কম। আর এই ডোমেইনটি যদি আপনার কাছে এভেইলেবল না থাকে তাহলে আপনার অনেক বিজনেস অপরচুনিটি হারানোর রিস্ক থেকে যায়।

তাই ডট কম ডোমেইন এভেইলেবল না থাকলে অন্য নাম নিয়ে ভাবা যেতে পারে, কিন্তু অন্য এক্সটেনশন নিয়ে আগে না বাড়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

৫) এক্সপান্ডেবল নাম সিলেক্ট করা

যে কোন ব্যবসা আসলে ছোট ভাবেই শুরু হয়। হয়তো শুরুর দিকে খুব ছোট একটি মার্কেটে ছোট একটি সার্ভিস দেয়া হয়। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ব্যবসা বড় হতে থাকে। ব্যবসাতে নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্র তৈরি হয়। নতুন মার্কেট নিয়ে কাজ করা হয়। তাই বিজনেসের নাম এমন হওয়া উচিত যাতে তা ব্যবসা বড় হয়ে গেলেও রিলেভেন্ট থাকে।

উদাহরণ দেই।

ধরেন আপনি এখন শুধু এসইও অডিট সার্ভিস দেন। আপনি আপনার ব্যবসার নাম সিলেক্ট করলেন, এসইও অডিট কোম্পানি। কিন্তু কালকে যদি আপনি ইমেইল মার্কেটিং সার্ভিস এড করেন, আপনি কিন্তু এখানে এড করলে তা রিলেভেন্ট মনে হবে না।

তাই ব্র্যান্ড নামটা যদি এমন হয় যা কোন একটি মাইক্রোনিশকে ফোকাস না করে কিছুটা বর্ডার নিশ ফোকাস করছে তাহলে তা ভাল।

এছাড়াও নিচের বিষয় গুলাকেও মাথায় রাখতে হবে।

  • সেই নামে ইতিমধ্যে কোন ব্যবসা রেজিস্ট্রেশন করা আছে কিনা তা দেখে নিতে পারেন।
  • রিলেভেন্ট ওয়ার্ড গুলার প্রতি শব্দ গুলো দেখতে পারেন।

এছাড়াও ব্র্যান্ড নেম এর আইডিয়া খুঁজার জন্য নিচের ট্যুল গুলা ব্যবহার করতে পারেন।

আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের কে সহায়তা করবে আপনার নতুন ব্যবসার নাম খুঁজে বেড় করেতে। আমার ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করে না থাককে করতে পারেন। জয়েন করতে এখানে ক্লিক করুন।

এছাড়াও আমার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও গুলো দেখতে এখানে ক্লিক করুন

রিলেটেড পোস্ট:

Scroll to Top