এ কথা অনেক বার শুনেছেন, কিন্তু চেষ্টা করে দেখেন নি। অথবা চেষ্টা করেছেন কিন্তু বেশিদিন করেন নি। আর এর পর যখন কেউ এই কথা আবার আপনাকে বলবে আপনার বিরক্ত লাগবে। মনে হবে সবাই একই কথা বলে, আর এটাতে কিছু হয়না। কিন্তু আসল সমস্যা কিন্তু ওখানে না, আসল সমস্যা হচ্ছে যা শুনছেন তা চেষ্টা না করাতে।
আমি মুলত বলছি টু ডু লিস্ট তৈরি করে কাজ করার কথা। আপনি বিশ্বাস করেন আর না করেন আমরা ডেস্ট্রাকশন পকেটে নিয়ে ঘুরি। হাতে নিয়ে ঘুরি। হ্যা মোবাইলের কথা বলছি।
আমরা যারা অনলাইনে কাজ করি, আমরা আরও এক ধাপ এগিয়ে। আমরা দুইটা ডেস্ট্রাকশন নিয়ে ঘুরি। মোবাইল, এবং ল্যাপটপ।
যারা টিম লিডার, ম্যানেজার, তাদের অবস্থা আরও ভয়াবহ। সারাদিন তাদের ব্রেইন টেবিল টেনিস বলের মত লাফাতে থাকে। এখন এখানে তো একটু পরে আরেক জায়গাতে।
এই পুরা বেপার গুলই কিন্তু আপনার প্রোডাক্টিভিটির তেরটা বাজিয়ে দিবে। কাজের কাজ কিছু হবে না, কিন্তু দেখবেন এমন টায়ার্ড লাগছে, মনে হচ্ছে পুরো এলাকাবাসীর কাজ আপনি একাই করেছেন।
রিটার্ন?
আপনিই ভাল জানেন।
এই পুরা বেপারটা থেকে বেচে যাওয়া যাবে যদি নিজেকে একটু কঠিন ভাবে ইন্সট্রাকশন দেয়া যায়। আর স্ট্রেটেজি মেইন্টেইন করা যায়। কী করতে হবে?
১) টুডু লিস্ট তৈরি করতে হবে। সারাদিন কী করতে চাচ্ছি তা জানতে হবে অবশ্যই।
২) টুডু লিস্ট কমপ্লিট করার জন্য প্রাণ পণ চেষ্টা করতে হবে। মনে করতে হবে আজকের পরে আর এই কাজ করার সুযোগ নেই।
৩) কাজ কমপ্লিট না হলে কী কী ক্ষতি হতে পারে তা ভাবতে হবে।
৪) সারাদিনের সময়টাকে ২ ভাগে ভাগ করেন। একটি হচ্ছে একটিভ পিরিয়ড, আরেকটি প্যাসিভ। একটিভ পিরিয়ডে মোবাইল সহ সব ডেস্ট্রাকটিভ জিনিশ দুরে রাখতে হবে। সোশ্যাল সাইট থেকে ১০০ হাত দুরে থাকতে হবে। মন বলবে একটু ফেসবুক ব্রাউজ করতে সাথে সাথে ব্রেইন কে কঠিন ইন্সট্রাকশন দিতে হবে। প্রথম প্রথম কষ্ট হবে, কিন্তু ধীরে ধীরে নিজের ব্রেইন এর উপড়ে আরও বেশি কন্ট্রোল হয়ে যাবে।
৫) যখনি টায়ার্ড লাগবে আপনি নিজেকে বলতে পারেন, সহজ কাজ তো সবাই পারে, যেটা কঠিন ওটা এচিভ করতে হলে একটু বেশি কষ্ট করতেই হবে। দেখবেন এনার্জি আসবে।
৬) যেটা করা দরকার শুরু করে দেন, হয়ে যাবে।
এভাবেই শুরু করে দিয়েহিলাম তাই কনটেন্ট লিখা হয়ে গিয়েছে 🙂
সবাই ভাল থাকবেন আর জয়েন করেন আমার ফেসবুক গ্রুপে
সাবস্ক্রাইব করুন আমার ইউটিউব চ্যানেলে।
আমার আপকামিং গেম চেঞ্জার চ্যালেঞ্জ এ অংশগ্রহণ করতে কানেক্টেড থাকুন, বিস্তারিত আসছে।