fbpx

Clickbait – ওয়েব বিজনেসের মরন ফাঁদ

নেপালের মাউন্ট এভারেস্ট এখন আমেরিকার দখলে!

মারা গেলেন নায়ক জালাল খান!

কারাগার ভেঙ্গে পালালেন নায়ক আকরাম দত্ত!

এই ধরনের টাইটেল প্রায়ই দেখা যায়। ফেসবুকে বিভিন্ন আম জাম ডট কম এই ধরনের টাইটেল ব্যাবহার করে কন্টেন্ট তৈরি করে। আমরা এই ধরনের টাইটেল দেখে সেখানে ভিজিট করে থাকি, এবং যখন আমরা ঐ পেজটাতে ভিজিট করি, আমরা হতাশ হই। কেননা টাইটেলের সাথে কন্টেন্টের কোন মিল নেই। কখনো হয়ত কোন সিনেমার ঘটনাকে ভিত্তি করে পোস্ট লিখা, কখনো ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেয়া। কখনো আবার পুরাটাই গাজাখুরি টাইপের।

এই স্ট্র্যাটেজিটাকে বলা হয়ে থাকে clickbait। সহজ ভাবে বললে এমন কন্টেন্ট তৈরি করা, যার প্রধান লক্ষই থাকে ভিজিটরকে আকর্ষন করা এবং তাদেরকে ক্লিক জেনারেট করা। কিন্তু কন্টেন্ট কোয়ালিটি / রিলেভেন্সি নিয়ে ভাবা হয় না।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই ধরনের ট্রিক কেন ব্যাবহার করা হয়?

মুলত দুই কারনে কিছু কন্টেন্ট মার্কেটার এই ধরনের ট্রিক এপ্লাই করে থাকে।

  • প্রথমত এই ধরনের ট্রিক আপনাকে বেশি ভিজিটর পেতে সাহায্য করতে পারে।
  • এই ধরনের ট্রিক এপ্লাই করে এড এ ক্লিক করতে উতসাহিত করে থাকে অনেকে। আর এই ক্লিক থেকে সে কিছু অর্থ আয় করতে পারে।

তবে এই স্ট্র্যাটেজি আপনার বিজনেসের জন্য খুবই বিপদ জনক

কেউ যখন খুবই অস্থীর টাইটেল দেখে আপনার পেইজে আসবে, এবং আসার পর যদি আপনার কন্টেন্ট কোয়ালিটি তার পছন্দ না হয়, সেখানেই আপনার ক্রেডিবেলিটি কমবে। আর যদি এমন হয় যে আপনার কন্টেন্ট রিলেভেন্টই নয় টাইটেল এর সাথে, তাহলে সেখানে আপনার রেপুটেশনের উপর বাজে প্রভাব পরবে।

এক-দুই বার এরকম অভিজ্ঞতা হলে হয়ত রিকভার করা পসিবল, তবে এটা রিপিটেড ঘটতে থাকলে অবশ্যই আপনার CTR কমতে থাকবে, বিশ্বাস যোগত্যা হাড়াতে থাকবে।

ওয়েব বিজনেসে প্রতিটা ব্র্যান্ডের গ্রোথ অনেকটাই তাদের এচিভ করা বিশ্বাস যোগ্যতার উপর নির্ভর করে। আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে আপনার টারগেত কাস্টমার কি ধারনা পোষন করে তার উপর নির্ভর করবে আপনার ফিউচার গ্রোথ। আর এই যায়গাটাতে পা পিছলে গেলে অনেক সময় ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যায়।

একজন নতুন ভিজিটর এচিভ করতে যে পরিমান ইনভেস্ট দরকার হয়, তার চাইতে অনেক কম ইনভেস্ট হয় এক্সিস্টিং ভিজিটর কে আপনার ব্লগে পুনরায় ভিজিট করানো।

আবার আমরা সেলিং এর দিক থেকে বলে থাকি, “বিজনেস সাকসেস ডিপেন্ড অন সেকন্ড সেল।” প্রথম সেলটা আপনি যে কোন ভাবেই আনতে পারবেন। ডিস্কাউন্ট, লোভোনিয় অফার ইত্যাদি। কিন্তু একই কাস্টমারের থেকে আপনি সেকন্ড সেল তখনই পাবেন, যখন সে আপনার প্রোডাক্ট কোয়ালিটিতে খুশি। বর্তমান সময়ে আপনার ব্লগ কে আপনার বিজনেস মেটেরিয়াল হিসেবেই কাউন্ট করতে হবে। বিজনেস সফলতা অনেকটাই নির্ভর করে আপনার কন্টেন্ট প্লানিং এর উপর। মানুষ সেই ব্র্যান্ড থেকেই পন্য কিনতে চায়, যে ব্র্যান্ড সম্পর্কে সে জানে, এবং যেই ব্র্যান্ডকে বিশ্বাস করা যায়।

আমার এই ব্লগে গত এক মাসের হিসেবে রিটার্নিং ভিজিটর প্রায় ৪৯ ভাগ।

এর মানে আমি আমার এক্সিসটিং ভিজিটরের এক্সপেকটেশন ফুল ফিল করতে পেরেছি, যার ফলে তারা আমার নতুন কন্টেন্ট এর বেপারে আগ্রহী এবং রিভিজিট করছে। তারমানে ট্রাস্ট বাড়ছে।

এই কম্পিটিশনের যুগে হয়ত আপনি Clickbait স্ট্র্যাটেজি দিয়ে হালকা কিছু উপার্যন করতে পারবেন, কিন্তু আপনি হয়ত টের ই পেলেন না কি বড় সুযোগ আপনি হেলায় হারাচ্ছেন। এই কম্পিটিশনের যুগে আপনার অবশ্যই আপনার ব্র্যান্ডের বিশ্বাস যোগ্যতা, কোয়ালিটি নিয়ে কাজ করতে হবে।

তাই বলে কি আমরা আমাদের কন্টেন্ট এর হেডলাইন নিয়ে ভাববো না। অবশ্যই ভাববো। আমাদের হেডলাইন আই কেচিং না হলে আমরা পর্যাপ্ত ট্রাফিক পাবো না। তবে হেডলাইন কে অপ্টিমাইজ করা মানেই Clickbait স্ট্র্যাটেজি না। আমরা হেডলাইন নিয়ে ভাববো তবে অবশ্যই তা কন্টেন্ট কোয়ালিটিকে বাদ দিয়ে নয়।

আমার ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করতে এখানে ক্লিক করুন

আরো পড়ুনঃ কন্টেন্ট তৈরির সাত সতের – পর্ব ১

রিলেটেড পোস্ট:

Scroll to Top