fbpx

সাকসেসফুল SEO কেস স্টাডিঃ স্টেপ বাই স্টেপ

কিছুদিন আগে একটি SEO এর কেস স্টাডি শেয়ার করেছিলাম, যেটা অনেক ভালো রেসপন্স পেয়েছিলো। তাই, আজকে আরেকটি SEO রিলেটেড কেস স্টাডি এবং কিছু টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করছি ।
মাত্র ৩ মাসে আমরা ৩৮.১% অর্গানিক গ্রোথ পেয়েছি যেটা SEO ইন্ডাস্ট্রির জন্য সত্যিই একটা বড় ব্যাপার।
চলুন তাহলে পুরো প্রসেসটা স্টেপ বাই স্টেপ আপনাদের সাথে শেয়ার করি।

স্টেপ ১

প্রথমেই আমরা কম্পিটিটর এনালাইসিসের মাধ্যমে আমাদের SEO জার্নি শুরু করি। আমাদের কম্পিটিটরদের ওয়েবসাইটগুলো এনালাইজ করার পর তাদের SEO অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু ট্রিক্স সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি। যেমন তাদের কী-ওয়ার্ড, কন্টেন্ট স্ট্র্যাটেজি এবং ব্যাকলিংক। এটা আমাদেরকে বিভিন্ন অপরচুনিটি এবং গ্যাপগুলো খুজে বের করতে সহায়তা করেছে যেগুলোর জন্য আমরা সার্চ ইঞ্জিন এ র্যাংক করতে পেরেছি।

স্টেপ ২

এরপর আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের জন্য রিলেভেন্ট এবং যে কী-ওয়ার্ডগুলো অনেক ভালো পার্ফরম করছে, সেগুলো খোজা শুরু করি। Ahrefs ব্যবহার করে আমরা হাই সার্চ ভল্যুমড , লো কম্পিটিটিভ এবং যে কী-ওয়ার্ডগুলো আমাদের টার্গেট অডিয়েন্স এর সাথে রিলেভেন্ট সেগুলো বের করি।
বিঃদ্রঃ আমরা শুধু সার্চ ভল্যুম এর উপর ভিত্তি করেই কী-ওয়ার্ড সিলেক্ট করিনি, বরং আমরা প্রতিটা কী-ওয়ার্ডের পিছে এর বিজনেস পটেনশিয়াল এর উপর গুরুত্ব দিয়েছি।

স্টেপ ৩

কী-ওয়ার্ড রিসার্চের পর আমরা এডভান্সড অন-পেজ SEO এর কিছু টেকনিক ইমপ্লিমেন্ট করেছি ওয়েবসাইটকে সঠিকভাবে অপটিমাইজ করার জন্য। এছাড়াও, ইউজার এক্সপেরিয়েন্সকে আরো ইম্প্রুভ করার জন্য ওয়েবসাইটের ইন্টারনাল লিংকিং স্ট্রাকচার এর উপর কাজ করেছি যেন সার্চ ইঞ্জিন ক্রলার এর কন্টেন্ট বুঝতে সুবিধা হয়।
বিঃদ্রঃ ওয়েবসাইটের স্ট্র্যাটেজিক ইন্টারলিংকিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

স্টেপ ৪

পরবর্তীতে, আমরা বিভিন্ন টেকনিক্যাল ইস্যুগুলো যেগুলো সার্চ রেজাল্ট পেজে আমাদের ওয়েবসাইটের পার্ফরমেন্সকে বাধা দিচ্ছিলো, সেগুলো খুজে বের করেছি এবং সলভ করেছি। এই ইস্যুগুলোর মধ্যে পেজ টাইটেল, হেডিং, ক্যানোনিক্যাল ইস্যু ফিক্স করা, ব্রোকেন লিংক, ডুপ্লিকেট টাইটেল ঠিক করা, ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড ইম্প্রুভ করা, স্কীমা মার্ক-আপ ইমপ্লিমেন্ট করা, মোবাইল ফ্রেন্ডলিনেস এই জিনিসগুলো ভালো ভাবে অপটিমাইজ করা হয়েছে।

স্টেপ ৫

ইউজার ন্যাভিগেশন এবং সাইট স্ট্রাকচার যেন অনেক সহজ হয়, আমরা সেই দিকে ফোকাস করেছি কারণ এতে করে ওয়েবসাইটের ভিজিটর এবং সার্চ ইঞ্জিন ক্রলার এর জন্য সুবিধা হবে। এই সেকশনে আমরা আমরা ন্যাভিগেশন মেনু, যে ইউআরএল গুলো ইউজার-ফ্রেন্ডলি, সেগুলো অপটিমাইজ করেছি এবং ওয়েবসাইটের ইন্টারনাল লিংকিং স্ট্রাকচারকে আরো বেটার করার চেষ্টা করেছি।

স্টেপ ৬

আমরা এখানেই কিন্তু থেমে থাকিনি! আমরা ওয়েবসাইটের ইউআই এর উপর কাজ করেছি, ইম্প্রুভ করেছি। কীভাবে ওয়েবসাইটকে আরো উইজার ফ্রেন্ডলি করা যায়, বিভিন্ন লে-আউটকে বেটার করা যায়, ভিজ্যুয়ালি আরো ইম্প্রুভ করা যায়, সেদিক গুলো খেয়াল রেখেছি। এর সাথে একটা ইম্পরট্যান্ট জিনিস যেটা মাথায় রাখতে হবে, সেটা হচ্ছে আমাদের চেক করতে হবে যে ওয়াবসাইট টা বিভিন্ন মোবাইল ডিভাইসে ব্রাউস করলে ঠিকভাবে দেখাচ্ছে কিনা, সেভাবে অপটিমাইজ করতে হবে।

 

বিঃদ্রঃ ওয়েবসাইটের যেকোন পেজ এ যেতে ৩ টা ক্লিক এর বেশি যেন না লাগে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
যারা এসইও ইন্ডাস্ট্রিতে আছেন, অথবা বিগিনার লেভেলে আছেন, তাদের জন্য এই কেস স্টাডি হেল্পফুল হবে। একটা সাইট কে কিভাবে সাকসেসফুলি র্যাংক করা যায়, সে সম্পর্কে আরো টিপস এবং স্ট্র্যাটেজি পেতে সাথে থাকুন গ্রো উইথ নাহিদ এর সাথে!!

রিলেটেড পোস্ট:

Scroll to Top