fbpx

কম খরচে কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং করবেন? (৮ টি পরীক্ষিত পদ্ধতি)

আপনি কী জানেন, পৃথিবীর কত গুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তার ব্যবসার প্রসারের জন্য ফেসবুকে তাদের বিজনেস পেজ পরিচালনা করেছে?

সংখ্যাটা হচ্ছে ২০ কোটি। 

এবং এই সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।  

কিন্তু কেন? 

এর উত্তর হচ্ছে মানুষের ফেসবুকের প্রতি আসক্তি। 

গ্লোবাল ডাটা অনুসারে একজন মানুষ গড়ে ১৯.৫ ঘণ্টা সময় প্রতি মাসে ফেসবুকে ব্যবহার করে থাকে। বাংলাদেশের জন্য আলাদা করে ডাটা না থাকলেও আমরা অনুমান করতে পারি এই সংখ্যা বেশি ছাড়া কম হবেনা। 

ফেসবুকের ৬৫ ভাগ ব্যবহারকারি হচ্ছে তরুণ কিন্তু প্রতিনিয়ত মাঝ বয়সী এবং বয়স্ক মানুষদের ফেসব্যক ব্যবহারের সংখ্যাও বাড়ছে। 

এখন যদি আমরা ফেসবুক মার্কেটিং নিয়ে কথা বলতে চাই, বিশেষ করে খরচ সংক্রান্ত, তাহলে প্রশ্ন জাগতে পারে যে ফেসবুক মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আসলে খরচ গুলো কোথায়? 

১) কন্টেন্ট (ইমেজ, ভিডিও, টেক্সট ইত্যাদি)

২) ট্যুল (রিসার্চ, অটোমেশন ইত্যাদি)।

৩) বিজ্ঞাপন এর খরচ 

৪) হিউম্যান রিসোর্স

বড় ব্র্যান্ড গুলার ক্ষেত্রে আসলে এটি তেমন বড় কোন চ্যালেঞ্জ না কেননা তাদের অভিজ্ঞতা, এবং বাজেট দুটিই বেশি থাকে। যার ফলে তাদের ইমিডীয়েট রিটার্ন যেমন দরকার হয় না আবার একই ভাবে তাদের বাজেট বেশি থাকার কারণে তাদের কন্টেন্ট, ট্যুল এবং হিউম্যান রিসোর্স নিয়ে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয় না। সব কিছুতেই তারা সেই গুনগত মানের দিকে নজর দিতে পারে। 

তবে ছোট ব্যবসা গুলার ক্ষেত্রে ব্যাপারটি ভিন্ন। আপনাকে অবশ্যই এমন একটি সলিউশন ডেভেলপ করতে হবে যা কম খরচে করা যায়। কম রিসোর্স দরকার হয়, এবং  ট্যুলের ক্ষেত্রে যতটুকু সম্ভব ফ্রি ট্যুল ব্যবহার করা যায় কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। 

ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করার আগে আমাদের ফেসবুক এলগরিদম কিভাবে কাজ করে তা নিয়ে ধারনা থাকতে হবে। 

ফেসবুকের এলগরিদম কে এডজ র‍্যাঙ্ক বলে। এটি মূলত নিচের তিনটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ডিজাইন করা হয়েছে। 

এফিনিটিঃ আপনার কন্টেন্ট মূলত কাদের উদ্দ্যেশ্যে তৈরি হয়েছে এবং এর সাথে কাদের এঙ্গেইজমেন্ট আছে, তা বুঝার চেষ্টা করে থাকে ফেসবুক, যারা এঙ্গেইজড থাকে তারা আপনার কন্টেন্ট গুলো তাদের নিউজফিডে বেশি দেখবে।

ওয়েইটঃ কন্টেন্ট এর ধরনের উপর নির্ভর করে তা নিউজফিডে দেখানো হয়ে থাকেবর্তমান সময়ে ভিডিও এবং ইমেজ কন্টেন্ট বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। 

পোস্টের সময়ঃ ফেসবুক মূলত রিসেন্ট আপডেট গুলো নিউজফিডে বেশি দেখায়। তাই পুরানো পোষ্ট গুলো কারো নিউজফিডে নাও দেখাতে পারে। 

যদিও এলগরিদম আসলে এতোটা সহজ কিছু নয় । এখানে আরও অনেক ছোট খাটো গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার কাজ করে। এবং আমাদের ধীরে ধীরে সে বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করতে হবে। 

ফেসবুকের এলগরিদম বুঝার পর আমাদের বুঝতে হবে-

  • আমাদের কাস্টমার কিভাবে চিন্তা করে? 
  • কিভাবে ফেসবুকের সাথে ইন্টারেক্ট করে? 

একই মানুষ কিন্তু এক এক প্লাটফর্মে এক এক রকম ভাবে বিচরণ করে। তাই এই ব্যাপারে আপনি যত ভালো জানবেন তত ভালো পারফর্ম করতে পারবেন।

আমার দীর্ঘ ১২ বছরের ক্যারিয়ারে আমি পেওনিয়ারের মত বড় প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করেছি, ঠিক তেমনি কাজ করেছি বেশ অনেক গুলো ছোট প্রতিষ্ঠানের সাথে। আর এই কাজ করার অভিজ্ঞতার আলোকে আপনাদের সাথে নিচের ৮টি পরিক্ষিত পদ্ধতি শেয়ার করছি।

প্রথমেই মনে করিয়ে দেই, 

 ব্যবসা গ্রো করার জন্য দুইটা জায়গাতে কাজ করতে হয়। নতুন কাস্টমার তৈরি করা। এবং পুরাতন কাস্টমারের কাছে বার বার সেল করা। একই পণ্য অথবা নতুন পণ্য। 

আর এই পুরো জার্নিটার মধ্যেই ফেসবুক প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে আপনাকে সহায়তা করবে। 

১) ফেসবুক গ্রুপ নিয়ে কাজ করা

বেশিরভাগ মানুষ শুধুমাত্র তার বিজনেস পেজ নিয়ে ভাবে। আর ভুলে যায় ফেসবুকের আরো বেশ কিছু ট্যুল আছে যা খুবই কার্যকরি। ফেসবুক প্রতিনিয়ত পেজ গুলার অরগানিক রিচ কমিয়ে দিচ্ছেতারমানে এডভারটাইজমেন্ট ছাড়া আপনার পেজের কন্টেন্ট গুলো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাবে না। ছোট ব্যবসার জন্য বিজ্ঞাপনে অনেক টাকা ইনভেস্ট করা সহজ কাজ না। প্রতিনিয়ত বিজ্ঞাপনের খরচ বাড়ছে, অন্যদিকে পণ্য/সেবার দাম কমাতে হচ্ছে প্রতিযোগিতাপূর্ন এই বাজারে টিকে থাকার জন্য। 

একটু উদাহরণ দেখা যেতে পারে। কোকাকোলা বাংলাদেশের একটি পেইজের স্ক্রিনশট দেখাতে পারি। ধারনা করছি এই পোস্টে  কোন বিজ্ঞাপন দেয়া হয়নি। প্রায় ১০ কোটি মানুষ এই পেইজের সাথে কানেক্টেড যেখানে তাদের একটি পোষ্ট গত ৪৫ দিনে মাত্র ১৪৫টি লাইক/রিয়েকশন পেয়েছে, কমেন্ট ৩৪টি এবং শেয়ার মাত্র ৫ টি। এথেকেই বুঝা যায় যে ফেসবুক পেজের অরগানিক রিচ কত কম হয়ে থাকে।

Cocacola Bangladesh Engagements

ফেসবুক পেজের অরগানিক রিচ কমতে থাকলেও ফেসবুক গ্রুপের পোস্ট গুলোর রিচ কিন্তু বেশি হয়। তাই আপনার ব্যবসার ধরনের উপর ভিত্তি করে আপনি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করতে পারেন। ফেসবুক গ্রুপ ব্যবসার নামের উপড়েই হতে হবে তা কিন্তু না।

ধরেন আমি মহিলাদের শাড়ি বিক্রি করেন। আমার গ্রুপের নামে হতে পারে, বাংলার পোশাক/বাঙ্গালি ফ্যাশন ইত্যাদি। মানে আমার বিজনেস থিমের সাথে যায় এমনএবার আমার প্রমোশনাল পোস্ট গুলো গ্রুপ থেকে শেয়ার করতে পারি, এটি বেশি মানুষের নিউজফিডে যাবে। 

একটি উদাহরণ দেখা যেতে পারে। 

একই সময়ে একই পোস্ট, আমি আমার পেজে শেয়ার করেছি এবং গ্রুপে। ১২ ঘণ্টা পরে ফলাফল নিম্নরূপ। 

ফেসবুক পেজঃ 
রিচ হয়েছেঃ ১৫৭ জনের কাছে
এঙ্গেইজমেন্ট হয়েছেঃ ১৬ টি

ফেসবুক গ্রুপঃ
রিচ হয়েছেঃ ৯৫৩ জনের কাছে
এঙ্গেইজমেন্ট হয়েছেঃ ৯৫ টি

একই পোষ্ট এবং একই সময়ের করা পোষ্ট কিন্তু পেজ থেকে গ্রুপের রিচ এবং এঙ্গেইজমেন্ট দুটাই প্রায় ৬ গুন বেশি হয়েছে।

২) আপনার পার্সোনাল ফেসবুক প্রোফাইলকে ব্যবহার করুন

মানুষ ইমোশনালমানুষ মানুষের সাথে ইন্টারেক্ট করতে পছন্দ করে। তাই আপনার ব্র্যান্ড যত বড়ই হোক, আপনার পার্সোনাল এক্টিভিটি, মানুষকে প্রভাবিত করবে। তাই আপনি একজন উদ্যোক্তা, টপ ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটার হিসেবে আপনার পরিচিতি বাড়াতে পারেন। এটিকে আপনার ব্যবসায়িক লক্ষ্যে ব্যবহার করতে পারেন।

অনেকেই এই শক্তিশালী জায়গাতে ফোকাস করতে পারে না। আপনি চাইলেই আপনার ব্য্যান্ড এর অনেক কিছু পার্সোনাল প্রোফাইলে শেয়ার করতে পারেন। আলাদা কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন। বিহাইন্ড দ্যা সিন আলোচনা করতে পারেন। যা আপনার ব্র্যান্ডের পরিচিতি এবং বিক্রি দুটাই বাড়াতে সহায়তা করবে। 

আপনি চাইলে আমার সাথেও ফেসবুকে কানেক্টেড হতে পারেন

৩) কন্টেন্ট এর ভ্যারিয়েশন তৈরি করতে হবে

বেশির ভাগ ব্র্যান্ড একটা সময় পর গিয়ে স্ট্রাগল করে কন্টেন্ট ভ্যারিয়েশন না থাকার কারণে। আর এই লিস্টে সবচাইতে বেশি সংখ্যাটা হচ্ছে ছোট এবং মাঝারি প্রতিষ্ঠান গুলো। আপনি তাদের পেজে গেলে দেখবেন তাদের মোটামুটি শত ভাগ পোস্ট তাদের পণ্য সম্পর্কিত। বিক্রি সম্পর্কিত। যা তাদের অডিয়েন্সকে বিরক্ত করছে, তাদের এঙ্গেইজমেন্ট কমছে এবং দিন শেসে ব্র্যান্ডের গ্রোথ কমে যাচ্ছে। 

আসলে মানুষ অনেক বৈচিত্র্যময় প্রাণী, খানিকটা ইমোশনাল এবং তাদের হাতে অনেক ধরনের অপশন রয়েছে। তাই আমাদের কাজ করতে হবে তাদের সাথে দীর্ঘস্থায়ী এবং টেকসই সু সম্পর্ক তৈরি করার জন্য। আর এজন্য আমাদের কন্টেন্ট ডাইভারসিটি নিয়ে ভাবতে হবে। 

এখন আপনি যদি এই ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন হন তাহলে এটি অবশ্যই আপনার জন্য একটি চ্যলেঞ্জ। কারণ নতুন নতুন কন্টেন্ট আইডিয়া জেনারেট করা কঠিন। তবে আমি আপনাদের জন্য এই জায়গাটাতে একটি সলিউশন ডেভেলপ করেছি। 

আমি আমার গত ১২ বছরের কাজ করা, মেন্টরিং, রিসার্চ থেকে ৩৬৫ পোস্ট আইডিয়া রেডি করেছি যা আপনি সহজেই আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন গুলোতে কাজে লাগাতে পারবেন। 

লিস্টটি পেতে এখানে ক্লিক করুন। 

৪) এঙ্গেজমেন্ট নিয়ে ভাবেন, কোয়ান্টিটি নিয়ে না

যখন কোন স্টার্টআপ অথবা স্মল বিজনেসের সাথে কাজ করেছি এই বেপারটা তাদের মধ্যে দেখেছি। তাদের প্লান হচ্ছে কোয়ান্টিটি নির্ভর। প্রতি দিন একটি করে পোস্ট দিতে হবে। অথবা সপ্তাহে ৫ টা পোষ্ট। তবে পোস্টের কন্টেন্ট কোয়ালিটি নিয়ে ভাবছে না।  

আমাদের মনে রাখতে হবে যে আমাদের একটি কন্টেন্ট ক্যালেন্ডার থাকতে হবে। কন্সিস্টেন্সি মেইন্টেইন করতে হবে। তবে তা কোয়ালিটি ছাড় দিয়ে নয়। ফেসবুক এলগরিদমের কথা যদি মনে করেন তাহলে ওখানে সবার প্রথমেই ছিল এফিনিটি। তাই আমাদের কন্টেন্ট যদি এঙ্গেইজিং না হয় তাহলে আসলে সেই কন্টেন্ট অকেজো। এর পেছনে আমি যতটুকু সময় এবং টাকা ইনভেস্ট করেছি তা বৃথা। 

তাই প্রথমেই আমাদের বুঝতে হবে কোন কন্টেন্ট গুলো বেশি এঙ্গেজমেন্ট জেনারেট করে এবং তা আমার বিজনেস নেচারের সাথে এলাইন্ড এবং প্রাসংগিক কিনা? আমার কন্টেন্ট আমার কাস্টমারের লাইফে ভ্যালু এড করছে কিনা। তার মনের মধ্যে আমার কন্টেন্ট গুলো কোন ছবি তৈরি করছে কিনা। মনে রাখতে হবে, এঙ্গেইজমেন্ট জেনারেট না হলে আসলে সেই কন্টেন্ট এর পেছনে সময় নষ্ট করে লাভ নেই। তাই কন্টেন্ট এর সংখ্যা কম হলেও সমস্যা হবে না যদি কন্টেন্ট এর কোয়ালিটি ভাল হয়। 

তবে মনে রাখতে হবে যে, অনেক এঙ্গেইজিং কন্টেন্ট ও অনেক সময় অকার্যকর হতে পারে। 

ফজলুর রহমান বাবুর একটি বিজ্ঞাপন ছিল, বাবাদের ঈদ নিয়ে, যেখানে সে তার ছেলের জন্য দাম দিয়ে জুতা কিনলেও নিজের জন্য না কিনেই চলে যান। খুবই ইমোশনাল বিজ্ঞাপন, এবং সবার মনে দাগ কেটেছে। বিজ্ঞাপনের কথা সবার মনে আছে, কিন্তু কোন ব্র্যান্ড এই বিজ্ঞাপনটি বানিয়েছেন এটি কিন্তু বেশির ভাগ মানুষের মনে নেইতারমানে এখানে এঙ্গেইজমেন্ট জেনারেট করা গেলে রিলেভেন্সি ক্রিয়েট করা যায় নি। অথবা ব্র্যান্ড এর নাম মস্তিষ্কে ঢুকিয়ে দেয়া যায় নি। 

 

৫) আপনার ব্র্যান্ডের গল্প সাজাতে হবে এবং তা শেয়ার করতে হবে

একাডেমিক লাইফে আমরা অনেক সূত্র পড়েছি। কিন্তু বেশিরভাগ মনে নেই। কিন্তু অনেক গল্প যেটা আমরা পড়েছি অথবা নানী/দাদির কাছ থেকে শুনেছি তা কিন্তু মনে আছে। মানুষ গল্প শুনতে পছন্দ করে। মানুষের মনে তা লম্বা সময় গেঁথে থাকে। মানুষ একে অন্যের সাথে এটি শেয়ার করে। যা প্রচারণার পথ তৈরি করে দেয়। 

তাই আপনার ব্র্যান্ড এবং পণ্যের গল্প মানুষকে শুনাতে হবে। মিথ্যা গল্পের কথা বলছি না। আপনার মেসেজটাকে গল্প আকারে শেয়ার করতে বলছি। আপনার মার্কেটিং কন্টেন্ট এর মধ্যে স্টোরি টেলিং ব্যাপারটা থাকতে হবে। তাহলে দেখবেন একই কন্টেন্ট বেশি এঙ্গেইজমেন্ট এবং সেল জানারেট করবে। 

মনে রাখতে হবে, ছোট বেলা আমরা কঠিন কঠিন জিনিস পড়েছি কারণ আমরা বাধ্য ছিলাম। কিন্তু আমাদের ক্রেতা আমাদের কাছ থেকে কিনতে বাধ্য নয়আমরা একটি কম্পেটিশনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। যেখানে সবাই তার সাধ্যমত ক্রেতার মনোযোগ আকর্ষন করতে ব্যাস্ত। আর এখানে একমাত্র সেই টিকে থাকবে, ডোমিনেট করবে যে জানে কিভাবে ক্রেতার মনোযোগ আকর্ষন করতে হয়? তাকে ধরে রাখতে হয়। আর এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আপনার কন্টেন্ট তৈরির দক্ষতা। 

৬) এটেনশন গ্র্যাব করতে হবে

মানুষ যখন ফেসবুক ব্যবহার করে, তখন কিন্তু বিজ্ঞাপন দেখার জন্য ব্যবহার করে না। কোন পণ্য অথবা সেবা কেনার জন্য ও ব্যবহার করে না। তাই এখানে বিজ্ঞাপন দেখালেই বিক্রি বাড়বে না। আমরা প্রতিদিন অনেক বিজ্ঞাপন দেখি, কিন্তু সব বিজ্ঞাপন আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে না। তাই আমাদের জানতে হবে কোন ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে যা আমাদের এটেনশন গ্র্যাব করতে সহায়তা করবে। মনে রাখতে হবে মানুষ যখন ফেসবুক ব্রাউজ করে তখন সে অনেকটা জম্বির মত আচরণ করে। তাই আমাদের এমন কিছু নিয়ে কাজ করতে হবে যেখানে আমরা তার মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারি। 

আপনি যদি আইডিয়ার অভাব বোধ করতে থাকেন তাহলে আমি আপনার জন্য ৩৬৫ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট আইডিয়া শেয়ার করেছি তা দেখে নিতে পারেন। 

৭) রিটার্গেটিং বিজ্ঞাপন

আপনাকে রিটার্গেটিং বিজ্ঞাপন নিয়ে ভাবতে হবে। মানুষ আপনার পণ্য/সেবা সম্পর্কে একবার জেনেই কিনে ফেলবে তা কিন্তু না। আর এখানেই বেশির ভাগ মানুষ ভুল করে। সে অচেনা মানুষকে পণ্য/সেবার বিজ্ঞাপন তো দেখায়, কিন্তু তাদেরকে রিটার্গেট করে না। তারা ভাবে একবার দেখেই কিনে ফেলবে। আর এখানেই তার বিজ্ঞাপনের খরচ বেড়ে যায়, কিন্তু বিক্রি কমে যায়। 

মনে রাখতে হবে, মানুষ যখন মার্কেটে যায় তখন সে কিনতেই যায়। তাই কোন না কোন দোকান থেকে কিনে। কিন্তু যখন সে ঘরে বসে থাকে, তখন সে কেনার জন্য বসে থাকে না। তাই তার কাছে বিক্রি করা কঠিন। একবার তাকে নক করে বিক্রি করা যাবে না। বার বার নক করতে হবে, বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন যায়গা থেকে নক করতে হবে। তার মধ্যে কেনার ক্ষুধা জাগিয়ে তুলতে হবে। তাহলেই আপনি আপনার সেল বাড়াতে পারবেন। 

ফেসবুক বিজ্ঞাপন থেকে সর্বাধিক রিটার্ন পেতে চাইলে আপনাকে ফেসবুক বিজ্ঞাপন এর সিক্রেট গুলো জানতে হবে। আর যা আপনি জানতে পারবেন এই কোর্স থেকে। 

৮) ফেসবুক স্টোরিস

বর্তমান সময়ে ফেসবুক স্টোরিস কিন্তু আরেকটা জনপ্রিয় ট্যুলযা আপনাকে নতুন কাস্টমার পেতে সাহায্য করবে। ফেসবুক স্টোরিস এর জন্য আপনি আলাদা কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন। আর এ ক্ষেত্রে আপনাকে সহায়তা করবে নিচের ট্যুল গুলো। 

  • ক্যানভা
  • ক্রেলো
  • ইনশট

আমার পুরো পোষ্টটিকে যদি আমি ৩ টি পয়েন্টে আনতে চাই তাহলে বেপারটি এমন। 

১) কাস্টোমার সম্পর্কে আমার পরিষ্কার ধারনা থাকতে হবে। তারা কিভাবে চিন্তা করে, কি পছন্দ করে, কখন ইত্যাদি। 

২) ফেসবুক এলগরিদম সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে, ফেসবুকের এবং অনলাইনের বিভিন্ন ফ্রি এবং পেইড ট্যুল সম্পর্কে আইডিয়া থাকতে হবে। 

৩) সবচাইতে গুরুত্বপুর্ন, আপনার জানতে হবে কী ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। আপনার একটি ডিটেইল লিস্ট থাকতে হবে কন্টেন্ট আইডিয়া সম্পর্কিত এবং যেটির উপর নির্ভর করে আপনি আপনার সোস্যালি মিডিয়া মার্কেটিং প্লান ডিজাইন করবেন। 

আপনার কোন জিজ্ঞাসা থাকলে আমাকে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাতে পারেন। 

আমার ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করে না থাকলে এখান থেকে জয়েন করে নিন। 

পড়ুনঃ ফেসবুক গ্রুপে কিভাবে প্রশ্ন করতে হয়?

রিলেটেড পোস্ট:

Scroll to Top